র‌্যাগিংয়ের দায়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ৫ জন ছাত্রীসহ মোট ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জানা গেছে, গত বছর এক শিক্ষার্থীকে মেসে নিয়ে মানসিক নিপীড়নের ঘটনায় অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসিরকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মুস্তাফিজ অয়নকে চার সেমিস্টার, আর শরিফুজ্জামান খান আতিফ, সাবিদ আবরার তাজিম, অনিক আহমেদ, প্রীতম সাহা, সুয়েল রানা, যুবায়ের হোসেন তালুকদার জিম, মো. নাঈম মিয়া, বিকাশ চন্দ্র ধর এবং মিঞা মোহাম্মদ সায়্যদুল বাশার রিফাতকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া, গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৫ জন ছাত্রীকে র‌্যাগ দেওয়ার অভিযোগে আগের শিক্ষাবর্ষের ৫ জন ছাত্রীকে শাস্তি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে কাজী তাসমিয়া হক অরিশা চার সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত, আর ফারজানা মেহেরুন নূহ্য, তাসমিয়াহ আলম মাইশা, লামিয়া ইসমাইল জুঁই ও শ্রাবণী দে প্রিয়াকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীর বর্তমানে আবাসিকতা নেই, ভবিষ্যতেও তারা হলে সিটের জন্য যোগ্য হবেন না। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন আর কোনোভাবে র‌্যাগিংয়ে জড়িত না হয়, সে বিষয়ে সকলকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, গত বছরের ১৪ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের পাশের একটি মেসে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাগর হোসেন এবং সাখাওয়াত হোসেনকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। একই বিভাগের শিক্ষার্থী শিবরাজ ত্রিপুরা, জুবায়ের আব্দুল্লাহ, রিয়াদুস সালেহীন রিয়ান, তন্ময় কর্মকার সাগর, ইয়াজউদ্দিন পাটোয়ারী ও নাফিস ইমতিয়াজ রুহানকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হলে তাদের সিট বরাদ্দ না দেওয়ারও সুপারিশ করেছে কর্তৃপক্ষ।